abu putul.
দেয়ালের লেখা দেখলাম – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধকল্পে
অবিলম্বে জার্মানির হলোকাস্ট ডেনিয়াল অ্যাক্টের মত আইন প্রণয়ন করা হোক।
লেখায়ঃ ছাত্রলীগ, ঢাবি।
.
.
ব্যাপারটা আর কিছুই না। সম্প্রতি বিম্পি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন
ইস্যু নিয়ে একটা টান দিয়েছিলো। আর তার ফলশ্রুতিতে নড়েচড়ে বসেছে স্বাধীনতা
স্বপক্ষের ‘একমাত্র শক্তি’ গুলো – লীগ, বাম আর শাহাবাগী। শাহাবাগ ইটসেলফ
অবশ্য লীগ আর বামের মিলনমেলা।
.
.
জাতি হিসেবে বাঙালির ধর্মটা কী, সেটা যদি জিজ্ঞেস করি তবে এর উত্তর হবে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাবত চেতনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যাটা
সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ। পাক্কা বাঙালি হতে চাইলে আপনাকে বিশ্বাস করতে
হবে একাত্তরে নিহতের সংখ্যা ৩০ লক্ষ। ৩০ লক্ষ মানে ৩০ লক্ষই – ২৯,৯৯,৯৯৯
জনও নয়। প্রমান ছাড়া এগুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারলেই আপনি খাঁটি বাঙালি।
নতুবা আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে কুফরি করলেন এবং স্বাধীনতার
‘একমাত্র শক্তি’ গুলোর পক্ষ থেকে শোর উঠবে – পাকিস্তান চলে যান।
.
জার্মানি সহ ১৪ টা দেশে হলোকাস্ট ডেনিয়াল অ্যাক্ট বলবত আছে। আপনি যদি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান নাৎসিদের হাতে নিহত হওয়া ইহুদিদের ব্যাপারটাকে
গণহত্যা মনে না করেন, ১৪ টা দেশের অনেকগুলোতেই আপনি ক্রিমিনাল হিসেবে
সাব্যস্ত হবেন।
.
আমার কথাটা অনেক সহজ। তাদের যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামে একটা ধর্ম আছে,
আমাদেরও একটা ধর্ম আছে। মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারটা তাদের কাছে যেমন সেনসিটিভ,
৩০ লক্ষ না বলে ৩ লক্ষ বললে তাদের যেমন বুকে আঘাত লাগে, আমরাও খুব আঘাত
প্রাপ্ত হই যখন টেলিভিশন টক-শোতে শাহারিয়ার কবিরের মত মানুষেরা ইসলামের
নামে নিজের মন মত যা তা খুশি বলে বেড়ায়, আসিফ মহিউদ্দিনেরা আল্লাহ্ আর
তাঁর রাসূলকে নিয়ে কুৎসিত কথাগুলো বলে।
.
তারা হলোকাস্ট ডেনিয়াল অ্যাক্টের মত আইন চান বেশ ভালো কথা, কিন্তু মাঝে
দিয়ে যখন একবার ব্লাস্ফেমি অ্যাক্টের কথা তুলেছিলো ‘মোল্লারা’, তখনই তারা
বলে উঠলেন – কী বর্বর!
.
সবই বুঝি কিন্তু তালগাছটা আমার।
No comments:
Post a Comment