------------- লূত্ব আঃ এর সম্প্রদায় ও বর্তমান জাহিলিয়্যাত -------------
#লূত্ব_আঃ_এর_সম্প্রদায়
মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ
وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ ** إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ** ----
আমি লূত্বকেও পাঠিয়েছিলাম, সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘তোমরা এমন কুকর্ম করছ যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের নিকট গমন কর .........। (সূরাঃ আ’রাফ, আয়াতঃ৮০-৮১)
এই সম্প্রদায়ের মূল অপরাধ ছিল ২টি ---
এক, তাউহিদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করা। দুই, সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া।
‘সমকামিতা’ ছিল এমন এক জঘন্য অপরাধ, এ সম্প্রদায়ের পূর্বে বিশ্ব জগতের কেউ যে অপরাধে লিপ্ত হয়নি। যেমনটি কুরআন বলছে – ‘তোমরা এমন কুকর্ম করছ যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে কেউ করেনি।’
লূত্ব আঃ তাঁর সম্প্রদায়কে বারণ করলেন, তারা তাঁর আহ্বানে সাড়া দিল না। তাঁর নিষেধ মানল না। যার ফলে আল্লাহ্ তায়ালার শাস্তির উপযুক্ত হল। আল্লাহ্ তায়ালা তাদেরকে শাস্তি দিলেন।
কি ছিল সেই শাস্তি –
فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ مَنْضُودٍ (82) مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ
“অতঃপর যখন আমার ফরমান জারি হলো তখন ভূ-খন্ডটির উপরিভাগকে নিচু করে দিলাম এবং ওর উপর ঝামা পাথর বর্ষণ করতে লাগলাম, যা ছিলো একাধারে এবং যা বিশেষভাবে চিহ্নিত ছিলো তোমার প্রভূর ভান্ডারে। আর উক্ত জনপদটি এ যালিমদের থেকে বেশি দূরে নয়”। (হূদঃ ৮২-৮৩)
কতইনা ভয়ানক ছিল সেই শাস্তি।!!! পুরো সম্প্রদায়কে জমিন সহ উল্টিয়ে দেয়া, তাঁর উপর একাধারে ঝামা পাথর বর্ষণ। অপরাধ ছিল, তাউহিদকে না মানা। সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া।
#বর্তমান_জাহিলিয়্যাত
আমরা এক নব্য জাহিলিয়্যাতের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। এমন এক জাহিলিয়্যাহ, ইতিহাসে যার কোন দৃষ্টান্ত নেই। পূর্বের উম্মতদের অনেক জাহিলী সমাজকে আল্লাহ্ তায়ালা নিঃশেষ করে দিয়েছেন। এই সকল জাহিলিয়্যাতের সমন্বয়ে সৃষ্ট আমাদের এই অত্যাধুনিক (!) জাহিলিয়্যাত।
আমরা এই জাহিলী সমাজের একটা অপকর্ম নিয়ে আলোচনা করি -
লূত্ব এর সম্প্রদায় ছিল এক জাহিলিয়্যাতের মধ্যে। নব আবিষ্কৃত যে অপকর্মের মধ্যে তারা লিপ্ত ছিল, তা হচ্ছে সমকামিতা। আচ্ছা! বর্তমান সমাজে কি এই অপকর্মটি বিদ্যমান নেই?! হ্যাঁ আছে।
তবে নব্য জাহিলিয়্যাত এই অপকর্মের মধ্যে যে আধুনিকায়ন করেছে, তা হচ্ছে, তাদের সমকামিতা ছিল শুধু পুরুষ-পুরুষ। কিন্তু এই নব্য জাহিলিয়্যাত এটাকে মেয়ে-মেয়ে গণ্ডিতে উন্নতি (!) করেছে। তাদের মাঝে সমকামিতা ছিল, কিন্তু পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই। কিন্তু এই জাহিলিয়্যাতের মধ্যে পুরুষ-পুরুষ, নারী-নারী বিবাহকে রাষ্ট্রীয় ভাবে বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। এই হচ্ছে আধুনিক জাহিলিয়্যাত।
#তবে_প্রশ্ন_জাগে –
এত জঘন্য পর্যায়ে পৌঁছার পরও কেন আল্লাহ্ তায়ালা তাদেরকে ধ্বংস করছেন না।? কেন তাদেরকে তল-উপর করে দিচ্ছেন না।? কেনইবা তাদের উপর ঝামা পাথর বর্ষণ করছেন না।? অথচ এরা তাদের চেয়ে হাজারগুণ বেশী সীমালঙ্ঘন করেছে।
এর উত্তর আল্লাহ্ তায়ালা দিচ্ছেনঃ-
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ ............
তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের হাত দিয়ে তাদেরকে শাস্তি দেবেন ...। (সূরাঃ তাওবা,আয়াতঃ ১৪)
এরা আল্লাহ্ তায়ালার শাস্তির পূর্ণ উপযুক্ত হয়ে আছে। পূর্বের সম্প্রদায় সমূহকে আল্লাহ্ তায়ালা যে অপরাধ সমূহের ফলে ধ্বংস করেছেন, সেগুলোর এমন কোন ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া জাবেনা যাতে এদের বিচারণ ঘটেনি। কিন্তু ঐ সম্প্রদায় সমূহকে আল্লাহ্ তায়ালা ধ্বংস করেছেন, তার ফিরিশতাদের মাধ্যমে, আর এই আধুনিক জাহিলিয়্যাতকে ধ্বংসের দায়িত্ব দিয়েছেন আমাদের কাঁধে।
তাই আল্লাহ্ তায়ালার বান্দারা যদি এই সমস্ত সমকামী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে, তাহলে আল্লাহ্ তায়লা তাদেরকে সাহায্য করবেন। তারা কোন ভাবেই আল্লাহ্ তায়ালার বান্দাদের সামনে টিকতে পারবে না। কেননা তারা তো শাস্তির উপযুক্ত হয়ে আছে।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন –
وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ
আর মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। (সূরাঃ রুম, আয়াতঃ ৪৭)
No comments:
Post a Comment