Wednesday, July 6, 2016

জালেম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা উত্তম জিহাদ!

জালেম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা উত্তম জিহাদ!

আবু সাঈদ আল-খুদরী(রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ জালেম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা অধিক উত্তম জিহাদ।
[তিরমিযী ২১৭৪, সুনান ইবন মাজাহ ৪০১১]
.
আবু সাঈদ(রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন নিজেকে অপমানিত না করে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ নিজেকে কিভাবে অপমানিত করতে পারে? তিনি বলেনঃ সে কোন বিষয়ে আল্লাহর বিধান অবহিত থাকা সত্ত্বেও তার পরিপন্থী কিছু হতে দেখেও সে সম্পর্কে কিছুই বললো না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলবেনঃ অমুক অমুক ব্যাপারে কথা বলতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিলো? সে বলবে, মানুষের ভয়। তখন আল্লাহ বলবেনঃ আমাকে তো তোমার ভয় করা উচিত ছিলো।
[মুসনাদ আহমাদ ১১০৪৮, ১১৩০২, ১১৪৫৫, সুনান ইবন মাজাহ ৪০০৮]
.
আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজে বাধা দিবে এমন সময় আসার পূর্বে যখন তোমরা দোয়া করবে কিন্তু তা কবুল হবে না।
[মুসনাদ আহমাদ ২৪৭২৭, সুনান ইবন মাজাহ ৪০০৪]
.
কায়েস ইবনে আবূ হাযেম(রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বাকর(রা) দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন, অতঃপর বলেন, হে লোকসকল! তোমরা তো এই আয়াত তিলাওয়াত করো: ‘‘হে ঈমানদারগণ! আত্মসংশোধন করাই তোমাদের কর্তব্য, তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও, তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না’’ (সূরা মায়িদাহ ১০৫)। আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছিঃ লোকেরা মন্দ কাজ হতে দেখে তা পরিবর্তনের চেষ্টা না করলে অচিরেই আল্লাহ তাদের উপর ব্যাপকভাবে শাস্তি পাঠান।
[তিরমিযী ২১৬৮, সুনান ইবন মাজাহ ৪০০৫]
.
আবু সাঈদ আল-খুদরী(রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারওয়ান[উমাইয়া বংশীয় এক খলিফা] ঈদের দিন ঈদের মাঠে মিম্বার বের (স্থাপন) করলো এবং ঈদের নামাযের পূর্বে খুতবা দিলো।
এক ব্যক্তি বললো, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাতের বিপরীত করেছো, তুমি আজকের এই দিনে মিম্বার বের (স্থাপন) করেছো, অথচ এই দিন তা বের করা (ঈদের মাঠে মিম্বার নেয়া) হতো না। উপরন্তু তুমি নামাযের আগে খুতবা শুরু করেছো, অথচ নামাযের পূর্বে খুতবা দেয়া হতো না। আবু সাঈদ(রা) বলেন, এই ব্যক্তি তার দায়িত্ব পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার দৈহিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা সেভাবেই প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্যও না থাকলে সে যেন মনে মনে তাকে ঘৃণা করে। তা হলো সবচেয়ে দুর্বল ঈমান।
[সহীহ বুখারী ৯৫৬, সহীহ মুসলিম ৪৯, তিরমিযী ২১৭২, নাসায়ী ৫০০৮, ৫০০৯, আবু দাউদ ১১৪০, ৪৩৪০, মুসনাদ আহমাদ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১৪৬৬, সুনান ইবন মাজাহ ৪০১৩]
.
আবু সাঈদ আল-খুদরী(রা) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ ﷺ ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন এবং তাঁর ভাষণে বলেনঃ সাবধান! মানুষের ভয় যেন কোন ব্যক্তিকে সজ্ঞানে সত্য কথা বলতে বিরত না রাখে। রাবী বলেন (এ হাদীস বর্ণনাকালে) আবু সাঈদ(রা) কেঁদে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বহু কিছু লক্ষ্য করেছি কিন্তু বলতে ভয় পাচ্ছি।
[তিরমিযী ২১৯১, সুনান ইবন মাজাহ ৪০০৭]

No comments:

Post a Comment